সরকারী সুরক্ষা সেবায় জেলেদের প্রবেশাধীকার খুবই জরুরী। দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে জেলে সম্প্রদায় অন্যতম। এই জেলেদের মধ্যে আবার বিভিন্ন শ্রেনী রয়েছে যেমন: ক্ষুদ্র জেলে, বেদে জেলে ও খন্ডকালিন জেলে। বিভিন্ন কারণে জেলেরা আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে আছে এজন্য জরুরী সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন: আজকে আইসিডিএ- কোস্ট ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে।
আমার মতামত:
১. জেলেদের তালিকা দ্রুত হালনাগাদ করতে হবে।
২. জেলেদের ক্যাটারগরী অনুসারে সহযোগিতার ধরন নির্বাচন করতে হবে।
৩. প্রতি বছর জেলেদের নামের তালিকা যাচাই বাচাই করে প্রকৃত জেলে তালিকা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. জাল, নৌকা রেজিস্ট্রেশন করে নদীতে জেল সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে।
৫. সহ: ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকার, জেলে, নৌকার মাঝি, জাল মালিক, নৌকা মালিক, আরৎদার, মৎস্য অধিদপ্তর স্থানীয় অভিজ্ঞ এনজিও এর সমন্বয় সাধন করে জেলেদের ভাগ্যউন্নয়নে কাজ করতে হবে।
৬. ভারতের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাছ ধরা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
৭. অভিযানের সময় অতিরিক্ত খরচ না করে স্থানীয় আড়ৎদার ও সহ:ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে। এবং জাল ও নৌকা হে ফাতজ সহ:ব্যবস্থা কমিটি ব্যবস্থা করবেন।
৮. সরকারীভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্প না নিয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়ে নিবন্ধিত জেলেদের নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে, প্রয়োজনে আলাদা ব্যাংক (মৎস্য ব্যাংক) করে তাদের বিশেষ সঞ্চয় ও ঋণের আওতায় আনতে হবে।
৯. নদী ও সাগরের মাছের স্টক ব্যবস্থাপনা করতে হবে ও দাদন প্রথার বিলোপ ঘটাতে হবে।
১০. জালের ফাঁশ বড় করে ৯ ইঞ্চি এর উপরে করে কারেন্ট জালকে বৈধ করে দিতে হবে।
১১. জাটকার সাইজ ৮ সে.মি করতে হবে।
১২. জেলেদের নিরাপত্তার জন্য তাদের নৌকায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিশ্চিত করতে হবে।
১৩. কোস্টাল এলাকাকে বিশেষ পযটন এলাকা ঘোষণা করে, যৌথ প্রকল্প গ্রহন করতে হবে, যেখানে মাছ হতে পারে প্রধান গুরুত্বের বিষয়।