চরফ্যাশন ভোলা প্রতিনিধি
কলেজ শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদ এবং বিচার দাবিতে ভোলার চরফ্যাশনে মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১ টার দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সদর রোডে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। চরফ্যাশন উপজেলা শিক্ষক ও সচেতন মহল এর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সাধারণ মানুষ অংশ নিয়েছেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চরফ্যাশন সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আলাউদ্দিন, ফাতেমা মতিন কলেজের সহকারী অধ্যাপক আক্তার উদ্দিন মইনসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল ঢাকার বিজয়নগর মোড়ে চরফ্যাশন ফাতেমা মতিন কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো; নুরুদ্দিন এর উপর হামলা করেন একই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং তার ছেলে আসাদুর রহমান জাবের। এসময় নুরুদ্দিন স্যারকে মারধর করা হয়। পরে নুরুদ্দিন স্যার পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
এ বিষয়ে কলেজের সহকারী অধ্যাপক আক্তার উদ্দিন মইন জানান, গত বছরের ৫ নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম লঙ্ঘন করে কলেজের ১৫ তম শিক্ষক মহিউদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদ করায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও তার লোকজন নুরুদ্দিন স্যারসহ অনেকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। গত ১৬ এপ্রিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কলেজের উপাধ্যক্ষ অথবা প্রথম ৫ জনের মধ্য থেকে যেকোন একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাতে। এই চিঠি পাওয়ার পরপরই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহিউন বাচ্চু তার প্রতিপক্ষ নুরগদ্দন স্যারের উপর হামলা করে। চরফ্যাশন সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আলাউদ্দিন,
এসময় বক্তারা বলেন, গত ২১ এপ্রিল চরফ্যাশন ফাতেমা মতিন কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো; নুরুদ্দিন স্যার এর উপর হামলা করা হয়। এতে তিনি আহত হয়েছেন সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, জৈষ্ঠতা লঙ্গন করে পনেরো জনকে পিছনে ফেলে প্রভাষক মহিউদ্দিনকে যে পদে বসানো হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ। সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুদ্দিন আইনগতভাবে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ঢাকা হাইকোর্টে রিট করেন। এই দিন শেষে গতকাল তিনি কোর্ট থেকে বেরহলে মহিউদ্দিন তার ছেলে ভাই এবং সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে এই হামলা চালায়। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে এই হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।
মানববন্ধন শেষে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথির নিকট একটি স্মারকলিপি পেশ, করেন । এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিথি সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষকের উপর হামলা হয়েছে এর প্রতিবাদে। আমি একটি স্মারকলিপি পেয়েছি।তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।