এনজিও বিষয়ক প্রতিনিধি:
গত বছরের মত এবারও দাম এক ধাপ বাড়িয়ে তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা, সেই সঙ্গে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এবারও বিড়ির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেননি গত বছরের মত। তবে তামাকবিরেধিী সংগঠন গুলো এবং সাধারন জনগন শুল্ক বাড়ানোর এই প্রস্তাবে সন্তুষ্ট হতে পানেনি। তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেচছন, কর আরো বেশী বাড়িয়ে রাজস্ব আদায়ের সুযোগ বৃদ্ধি প্রয়োজন ছিল সরকারের তরফ থেকে।
দাম কতটা বাড়ছে
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, “সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর ৫০ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ ধার্যের প্রস্তাব করছি। যা গত অর্থবছরে ১০ শলাকার মূল্যস্তর ৪৫ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৮ শতাংশ ছিল।
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর ৭০ টাকা ও তদূর্ধ্ব, যা গত অর্থবছরে ১০ শলাকার মূল্যস্তর ৬৭ টাকা ছিল। উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর ১১৩ টাকা থেকে ১২০ টাকা ও তদূর্ধ্ব, অতি-উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা ও তদূর্ধ্ব নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেন। এই তিন স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এবার (২০২৪-২৫) ৬৫.৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়।
তবে হাতে তৈরি (ফিল্টার বিহীন) বিড়ির ২৫ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৮ টাকা, ১২ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৯ টাকা ও ৮ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেন।
তবে হাতে তৈরি (ফিল্টার সংযুক্ত) বিড়ির ২০ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৯ টাকা ও ১০ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়।
প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য গত বছরের চেয়ে ৩টাকা বাড়িয়ে ৪৮ টাকা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২টাকা বাড়িয়ে ২৫ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে দুই ক্ষেত্রেই সম্পূরক শুল্কের হার গত বছরের মতই ৫৫ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এ প্রেক্ষিতে কালীগঞ্জ মা-সংসদের স্পীকার জান্নাতুন নাহার বলেন, নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্যের দাম বৃদ্ধির হার যুক্তিযুক্ত হয়নি। যে হারে সিগারেটের দাম বাড়ানো হয়েছে তাতে নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য ‘সস্তা হয়ে পড়বে’।
কালীগঞ্জ যুব ফোরাম সভাপতি মো: রানা বলেন,এই বাজেট পাস হলে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি বাড়তি রাজস্ব আয়ের সুযোগ থেকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে।
মা-সংসদ, যুব ফোরামসহ কালীগঞ্জের সর্ব স্তরের জনগন জোর দাবি জানান, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হওয়ার পূর্বে প্রস্তাবিত বাজেট সংশোধন করে তামাকপণ্যের দাম বাড়াতে হবে।