বিশেষ প্রতিনিধি:
এনজিওএবি (এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো) একটি স্বাধীন কমিশনে রূপান্তরিত হওয়া উচি। এখন বিদেশী অনুদান আইনের পরিপ্রেক্ষিতে, সিকিউরিটি এজেন্সি চেক-এর নামে এনজিওএবি এনজিওদের নিবন্ধন দিয়ে থাকে এবং মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নিয়ে প্রকল্প প্রস্তাবনাগুলো অনুমোদন করে থাকে। এনজিওএবি যদি কোনো প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে শুধুমাত্র পিএমও-তে [প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়] আপিল করা যাবে, কিন্তু আদালতে যাওয়া যাবে না কেন? স্বাধীন সিভিল সোসাইটি গঠনের সামগ্রিক উদ্দেশ্যের জন্য এনজিওএবিকে এখন পরিমার্জন/ পরিশোধন করা দরকার।
বহুত্ববাদী, ধর্মনিরপেক্ষ, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে সিভিল সোসাইটির গুরুত্ব অপরিহার্য। রাজনৈতিক দলগুলি নিঃসন্দেহে সামাজ পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমাদের এটাও মেনে নিতে হবে যে আজকাল রাজনৈতিক দলগুলি সর্বদা জনস্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে না, সিভিল সোসাইটির আবির্ভাব ঘটছে, যারা খুব কমই পক্ষপাতমূলক আচরণ করে, বরং তারা জনসাধারণের এবং রাজনৈতিক স্বার্থের বিষয়গুলিকে নিরপেক্ষভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করে।
বর্তমান সময়ে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা ট্রিনিটি ফ্যাক্টরের তত্ত্ব নিয়ে এসেছেন, অর্থাৎ রাষ্ট্র, বাজার এবং সিভিল সেক্টরের মধ্যে শক্তিশালী আন্তঃসম্পর্ক। এই তিনটি শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে জোড়ালো ভূমিকা পালন করতে হবে। বেশিরভাগ এনজিও বৈদেশিক অর্থায়ন পায়, এটি কোন সমস্যা নয়, কারণ মানবাধিকার ও গণতন্ত্র আন্দোলনের বিষয়গুলি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকিৃত এবং সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি বৈদেশিক তহবিলের উপর রাষ্ট্রীয় কিন্তু সার্বভৌম নিয়ন্ত্রণের পক্ষে, তবে সেটা অবশ্যই স্বাধীন সিভিল সোসাইটির উন্নয়নের স্বার্থে, এনজিওগুলিকে একটি স্বাধীন কমিশন দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা এবং পরিচালিত করা উচিত যেখানে এনজিওএবি সেক্রেটারিয়েট হিসেবে কাজ করতে পারে।
এনজিওএবি কর্তৃক আয়োজিত আরটিআই বিষয়ক একটি সেমিনারে আমি এই ধারণাগুরো ব্যাখ্যা করার/উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি, উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, ডক্টর বদিউল আলম মজুমদার, ডক্টর ইফতেখারুজ্জামান এবং শাহিন আনাম উক্ত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।