1. admin@upokulbarta24.com : admin : Sohel Mahamud
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভোলায় জনদুর্ভোগ কমাতে ইউপি সদস্যদের নিয়ে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত আসন্ন বাজেটে তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি বোরহানউদ্দিনে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন মনপুরায় মাদক ব্যবসায়ী আসমার বাড়ি থেকে কোর্টের জিআরও ইয়াবাসহ আটক ভোলায় জমির মালিকানা দ্বন্দ্বে ২ লক্ষ টাকার গাছ কাটার অভিযোগ ইকবাল ও রুবেলা গংদের বিরুদ্ধে ফকিরহাট পিএসজির সম্মিলিত কার্যক্রম অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন সভা অনুষ্ঠিত ফকিরহাটে তিন মাদ্রাসা শিশু “গলায় ফাঁস” খেলতে গিয়ে একজনের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২ শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দাবা টুর্নামেন্টে এন্ট্রি আহবান করিডর বা বন্দর লিজ নয় সংস্কার নিয়ে ভাবুন : মোমিন মেহেদী সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আটক

মুরগির খামার করে মিতু এখন স্বাবলম্বী

যুগ্ম সম্পাদক
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২৪ বার পঠিত

শিপুফরাজী, চরফ্যাশন \
লেয়ার মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মিতু বিবি। চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের এক প্রত্যন্ত গ্রাম চর নুরুল আমিন। এই গ্রামের বাসিন্দা মিতু বিবি । গ্রামের পশ্চিম দিকে খর¯্রােতা নদী তেতুলিয়া। নদী ভাঙ্গন,বন্যা, জলোচ্ছাস, ঘুর্নিঝড় এ গ্রামের মানুষের নিত্যসঙ্গী। এ গ্রামে বেড়ি বাঁধের বাইরে ছোট একটি টিনের ঘরে বসবাস মিতু (২৯)- সুমন (৩২) দম্পতি। সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তার স্বামী মোঃ সুমন ভাড়ায় অটো গাড়ী চালান। দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতির এই দিনে একজনের আয় দিয়ে ১ মেয়ে, ১ ছেলেসহ ৪ জনের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। উপরন্ত তার স্বামী নিয়মিত কাজ করতে অসমর্থ হওয়ায় তাদের জীবন আরও দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। টাকার অভাবে সন্তানদের লেখাপড়াও প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
এ দু:সময়ে তার পাশে এসে দাড়ায় পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ)এর সহায়তায়।পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) কর্তৃক বাস্তবায়িত পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল- ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (পিপিইপিপি- ইইউ) প্রকল্পের আওতায় কদম (কোড-১৯) প্রসপারিটি গ্রাম কমিটির সদস্য হন মিতু বেগম । এফডিএ-র ফিল্ড মোবিলাইজারের পরামর্শে তিনি সাপ্তাহিক সঞ্চয় শুরু করেন।
সংস্থার কারিগরি কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি প্রথমে হাঁস- মুরগি পালনের উপর ২ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। প্রশিক্ষনোত্তর প্রকল্প হতে অনুদান হিসাবে ৩০ টি লেয়ার মুরগি, মুরগির খাবার, খাবার ও পানির পাত্র, জীবানুনাশক, স্প্রেয়ারসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণ প্রদান করা হয়। সংস্থা হতে ৩০,০০০/- টাকা ঋণ নিয়ে নিজ উদ্যোগে আরও ৭০ টি লেয়ার মুরগি ক্রয় করেন। ৩২ দিন পর থেকে মুরগি ডিম দেওয়া শুরু করে। ১০০ টি মুরগি থেকে দৈনিক গড়ে ৯০ টি ডিম বিক্রি করে তার আয় হত ৭৫০ টাকা। খরচ বাদে খামার হতে তার মাসিক আয় ৮,০০০-১০,০০০ টাকা। লাভের অংশ ও সংস্থা থেকে পূনরায় ৫০,০০০/- টাকা ঋণ নিয়ে খামারে আরও ২০০ টি মুরগি পালন শুরু করেন। তার খামারে মোট মুরগির সংখ্যা দাড়ায় ৩০০ টি যা থেকে তার মাসিক আয় হয় ২২,০০০-২৫,০০০ টাকা।
এখানেই শেষ নয় আগষ্ট/২০২৩ তিনি সংস্থা হতে পূনরায় ৬৯,০০০/- টাকা ঋণ নিয়ে ব্রয়লার মুরগি পালন শুরু করেন। এ পর্যন্ত তিনি ১৪ টি ব্যাচ/ সাইকেলে ব্রয়লার পালন করে সর্বমোট ২,৯৪,৮৬০/ টাকা লাভ করেছেন। বর্তমানে তার খামারে ৮০০ ব্রয়লার মুরগি আছে। ব্রয়লারে খামার হতে তার মাসিক আয় হয় ২৫,০০০-৩০,০০০ টাকা। ধীরে ধীরে ব্যবসার পরিধী বাড়নোর ইচ্ছা তার। লাভের অংশ হতে ১,৬০,০০০/- টাকা দিয়ে একটি নতুন অটো গাড়ী ক্রয় করেছেন মিতু বেগম। তার স্বামীকে এখন আর অন্যের গাড়ী ভাড়ায় চালাতে হয় না। সাংসারিক অন্যান্য কাজের পাশাপাশি দেশি হাঁস মুরগি পালন এবং বসত বাড়ীতে শাকসবজী চাষ করেন মিতু। প্রকল্পের পুষ্টি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে চিকিৎসাখাতে ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। সাধারন কোন রোগের চিকিৎসায় কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নেন। লাভের টাকা দিয়ে এখন বেশ ভাল ভাবেই চলছে মিতু বেগমের সংসার। তার বড় ছেলে ২য় এবং মেয়ে-১ম শ্রেনীতে পড়াশোনা করছে। তারা এখন নিয়মিত স্কুলে যায়। ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে পুনরায় ঋণ নিয়ে আরও বড় আকারের ২০০০ মুরগির খামার করার আশা তার। মিতু বেগমের সংসার ক্রমান্বয়ে সফলতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তার এরূপ উন্নতি দেখে এলাকার বেশ কয়েক জন ইতিমধ্যেই ব্রয়লার মুরগি পালনের কাজ শুরু করেছেন। আর্থিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সমাজে তার মর্যাদা অনেক বেড়েছে। টাকা উপার্জন করতে পাড়ায় পরিবারে তার মর্যাদা বেড়েছে। যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্তে তার স্বামী তার সাথে পরামর্শ করেন। তার এ সফলতায় সহযোগিতার জন্য তিনি এফডিএ, পিকেএসএফ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছে কৃতজ্ঞ ।মিতু বেগম আমাদের কে জানান “ সন্তানদের কে উচ্চ সুশিক্ষিত করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা তার স্বপ্ন” ।
পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) কর্তৃক বাস্তবায়িত পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল- ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (পিপিইপিপি- ইইউ) প্রকল্পের সমন্বয়কারি ফারুক হোসেন বলেন অনেকেই লেয়ার মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন । দেশের ডিমের মোট লক্ষ্যমাত্রার সিংহভাগই আশে লেয়ার মুরগির ডিম থেকে। আশা করছি আগামীতে এর পরিধি আরও বাডবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা