মোঃ আলাউদ্দীন মন্ডল রাজশাহী :
রাজশাহী জেলার সবকটি উপজেলা এখন আমের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাতি অর্জ করেছে দেশের সবচেয়ে বড় আম বাজার এখন এই উপজেলায়। এবার প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা করছে স্থানীয় রাজশাহীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ।
পুরোদমে মোহনপুর, বাঘমারা,পবা,গোদাগাড়ী, বাঘা,চারঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলার বাগান গুলোতে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি বাগানে বাগানে কৃষকগণ কীটনাশক স্প্রে করছে যাতে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ আমের গায়ে দাগ কাটতে না পারে।
সাপাহার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে, এ বছর
রাজশাহীর সকল উপজেলায় ২০ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে ২ লক্ষ ৮০ হাজার মেন্ট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে যার আনুমানিক বাজার দর হতে পারে ১৩০০ কোটি টাকা।
এ বছর আম রুপালি, ব্যানানা ম্যাংগো, মিয়াজাকি, কাটিমন, গৌড়মতি, বারি-৪ সহ দেশি-বিদেশ মিলে প্রায় ১৫/১৬ জাতের আম চাষ হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকেই তীব্র খরা এবং অনাবৃষ্টির কবলে পড়েছে উত্তরের বরেন্দ্র এই অঞ্চল।
আর কয়েক দিনের মধ্যে রাজশাহীতে গুটি আম পাড়ার মধ্য দিয়ে আম নামানো শুরু হওয়ার কথা। হয়তো আর কয়েক দিন পরেই বাজারে আম পাওয়া যাবে এবং
রাজশাহীর বরেন্দ্র এই অঞ্চলে উৎপাদিত সুস্বাদু ও উন্নত জাতের আমের কদর দেশ ছড়িয়ে বিদেশেও বেড়েছে ব্যাপক চাহিদা। ইতিমধ্যেই সারাদেশে আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এই অঞ্চল। বর্তমানে সব কয়টি উপজেলা থেকে প্রতি বছর ১৩০০ কোটির অধিক টাকার আম বাণিজ্য হয়।
সরেজমিনে এলাকার বিভিন্ন আমবাগান ঘুরে দেখা যায়, গাছে গাছে ঝুলে আছে নানা জাতের আম। উল্লেখযোগ্য আমগুলো হচ্ছে গুটি, আশ্বিনা, গোপালভোগ, হিমসাগর, আম রুপালী, হাড়িভাঙ্গা,খিরসাপাত, কাটিমন সহ নানান জাতের আম। তবে এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে আম রুপালী জাতের আম। এই জাতের আম সুমিষ্ট ও কৃষকেরা দাম ভালো পাবার ফলে প্রায় ৬৫ শতাংশ আম রুপালী জাতের আম চাষ করা হয়েছে।
রাজশাহী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদগন জানান ও সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কামার পাড়ায় জানান, আম আড়ত, সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বাঘা উপজেলায় । এবার আমের মৌসুমে ঝড়ঝাপটা কম হয়েছে। রোগবালাইও কম। আশা করা হচ্ছে, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এবার চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় প্রায় ৭

কোটি টাকার আম বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরিচয়র্যার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করছি এবং আমাদের ফিল্ড অফিসাররা সবসময় কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করে চলেছে।