তুহিন খন্দকার, ভোলা:
ভোলার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট ও অ-ব্যবস্থাপনায় ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্যসেবা। হাসপাতালে রোগী ভর্তি হওয়ার পর চরম বিপাকে পড়তে হয়। বেডে ছারপোকা, তেলাপোকার অত্যাচার ও ময়লা নোংরা পরিবেশে অতিষ্ঠ হয়ে সুস্থ না হয়ে হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হয় অনেক রুগী।
আউটডোরে রোগীরা ডাক্তার দেখাতে সকাল থেকে হাসপাতালে লম্বা সিরিয়াল ধরেন। কখনো কাঙ্খিত ডাক্তার দেখাতে পারলেও রোগের নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাসপাতালে করাতে গেলে কচ্ছপ গতিতে দিন পেরিয়ে যায়। রোগীর রিপোর্ট কাঙ্খিত ডাক্তারকে দেখাতে হলে হয় ক্লিনিকে টাকা খরচ করে দেখাতে হবে, নয়তো পরদিন আবার পুনরায় হাসপাতালে আসতে হবে। হাসপাতালে ডাক্তারের চেম্বার সকাল থেকে খোলা থাকলেও ডাক্তারের তেমন দেখা মেলে না। ডাক্তারগন মিটিংয়ে থাকার নাম করে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বেশি সময় কাটান। সরকারি হাসপাতালে রোগীরা ডাক্তার দেখাতে যেন সোনার হরিণের পেছনে ছুটে চলার মত দুর্লভ। এমন অভিযোগ করেছেন হাসপাতলে থাকা অসংখ্য রুগী ও তার স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) ২৫০ শয্যা ভোলা সদর জেনারেল হাসপাতাল সরেজমিনে গিয়ে যে চিত্র ধরা পড়েছে, তা চরম উদ্বেগজনক। এমন চিত্র শুধু ভোলা সদর হাসপাতালে নয়, জেলার প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একই চিত্র দেখা যায়।
কিছুদিন পূর্বে ভোলা সদর জেনারেল হাসপাতালের অ-ব্যবস্থাপনার বিষয় দেখতে আসেন ছাত্র-জনতা, সমন্বয়কগন। রোগীদের দুর্ভোগের চিত্র দেখে ভোলা সিভিল সার্জন মোঃ মনিরুল ইসলামের সাথে ছাত্র জনতা প্রতিনিধি দল বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ডাক্তার সংকটের বিষয়টি সামনে আসলে ছাত্র জনতার দাবির প্রেক্ষিতে গত ১৫ ও ১৭ মে তারিখে ৮ জন ডাক্তারকে ভোলা সদর হাসপাতালে পদায়নের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই আদেশে নির্দেশনা রয়েছে পদায়নের তারিখ থেকে সাত দিনের মধ্যে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে হবে। কিন্তু ডা: মোহাম্মদ ইয়াসির হাসনাত ছাড়া এখন পর্যন্ত বাকি ৭ জন ডাক্তার কর্মস্থলে যোগদান করেনি।
এ সকল বিষয়ে ২৫০ শয্যা ভোলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: শেখ সুফিয়ান রুস্তম জানান, গণমাধ্যমে কথা বলতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধ থাকায় তিনি কোন বক্তব্য দিতে পারবেন না।