মোঃ মহিউদ্দিন:
ভোলা সরকারি গণগ্রন্থাগার পাঠকদের জন্য জ্ঞানের এক উন্মুক্ত ভান্ডার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সেবা প্রদান করে আসছে। প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি বই নিয়ে এ পাঠাগার প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন পাঠকের জ্ঞানতৃষ্ণা মেটাচ্ছে। উক্ত পাঠাগারটি ভোলা সদরের চর নোয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত।
পাঠাগারটি প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে, তবে শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত এটি পুরোপুরি চালু থাকে।
ভোলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে চারজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন, যা পাঠকদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পাঠের পরিবেশ নিশ্চিত করছে।
গণগ্রন্থাগারের সহকারি পরিচালক মোঃ সবুজ খান জানান, কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৮ জনের পদ থাকলেও সরকারিভাবে মাত্র তিনজন আছেন , একজন আউটসোর্সের কর্মচারী। এত স্বল্পসংখ্যক লোকোবল নিয়ে বিশাল গণগ্রন্থাগারটি পরিচালনা করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
এখানে শুধুমাত্র বইপাঠ নয়, বরং নিয়মিত সাহিত্য আড্ডা, লেখক-কবিদের মতবিনিময় এবং বিশেষ বিশেষ দিন উদযাপনের মধ্য দিয়ে এটি এক প্রাণবন্ত জ্ঞানকেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। পাঠকদের মিলনমেলায় পরিণত হওয়া এই পাঠাগার ভোলার সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
গ্রন্থাগারটির সহকারি পরিচালক মোঃ সবুজ খান জানান, ভবিষ্যতে পাঠকদের আরও বেশি সুবিধা দিতে নতুন বই সংগ্রহ, পাঠচক্র এবং ডিজিটাল পাঠাগারের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। খুব শীঘ্রই মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠকদের বই পড়ার সুবিধা চালু হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, গ্রন্থাগারটিতে সরকারি বাজেট চাহিদার তুলনায় খুবই নগন্য হওয়ায় পাঠকদের সবধরনের চাহিদা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
জেলার ধনাঢ্য, দানশীল হৃদয়বান ব্যক্তিবর্গ গ্রন্থাগারটির সেবার মান বৃদ্ধির জন্য এগিয়ে আসলে পাঠকদের আরও উন্নতমানের পাঠকসেবা প্রদান করা সম্ভব।
এ ধরনের উদ্যোগ ভোলার পাঠকদের জ্ঞানচর্চার পরিধি আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।